মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
রামু’র ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন দক্ষিণ মিটাছড়ি নাগরিক ফোরাম এলাকার দারিদ্র্য দূরীকরণ ও উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। করোনাকালীন মানবিক কর্মকান্ড সহ ফোরামের সার্বিক কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। যা অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার ২৫ ডিসেম্বর রামু’র চেইন্দা এনএসআই মাঠে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে হত দরিদ্র তিনশত পরিবারের মাঝে সমাজকল্যাণ মূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দক্ষিন মিঠাছড়ি নাগরিক ফোরাম এর উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রামু’র ইউএনও প্রণয় চাকমা একথা বলেন।
দক্ষিন মিঠাছড়ি নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি এডভোকেট দীলিপ কুমার ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-দক্ষিণ মিটাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রীনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন-ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম ফরিদ। ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসাইন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, ফোরামের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম, অর্থ সম্পাদক ছৈয়দ করিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন-ফোরামের কর্মকর্তা সাংবাদিক মোহাম্মদ ফারুক সহ ফোরামের সকল সদস্যবৃন্দ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও এমএসআই এর সহযোগিতায় এ খাদ্য সহয়তা বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ফুল দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মিটাছড়ি নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম ফরিদ বলেন, তাদের এ মানবিক ও সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দক্ষিণ মিটাছড়ি ইউনিয়নকে জেলার একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে ফোরামের সকল সদস্য একযোগে কাজ করবে। সম্মানিত অতিথিবৃন্দ তাঁদের অনেক রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার মাঝেও ফোরামের খাদ্য সহয়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে আসায় তাঁদের প্রতি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম ফরিদ কৃতজ্ঞতা জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।